আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে নতুন বছরের প্রথম মাসে বিভিন্ন সড়কে ১৩জন নিহত হয়েছেন। সড়ক মহাসড়ক ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। প্রতি নিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পাল্লা ভারি হচ্ছে। তবে নিহতদের বেশির ভাগই অবৈধ যানবাহনের চালক, নয়তো যাত্রী ছিল বলে জানা গছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম তারিখে ঝিনাইদহের তেতুলতলা বাজারে রুলি খাতুন নামে এক মটরসাইকেল বাইকার নিহত হন। তিনি রাতে অন্যগ্রাম থেকে খেজুরের রস পান করে গ্রামের বাড়ি ফিরছলেন। একই দিন মহেশপুরের পদ্মপুকুর নামক স্থানে সড়ক দুটি মটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে লিয়াকত হোসেন ও রিয়াদ মারা যান।
২ জানুয়ারি সদর উপজেলার পাঁচ মাইল নামক স্থানে চাচা আলী হোসেন ও ভাতিজা মাহফুজুর রহমান নিহত হন। তারা অবৈধ আলমসাধুযোগে পাটভড়ি আনতে ফরিদপুর যাওয়ার পথে অজ্ঞাত যানবাহন চাপায় নিহত হন। ১৬ জানুয়ারি সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজারে ইব্রাহীম নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হন। তিনি কুষ্টিয়া থেকে আলমসাধুযোগে হাটগোপালপুরের রাইচারণী কলেজের কাছে পৌছালে একটি ট্রাক তাদের আলমসাধু পেছন থেকে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনায় পতিত হন।
২৩ জানুয়ারি মহেশপুরের ভালাইপুরে আবুল কাশেম, আবুল কালাম ও আলমগীর হোসেন নিহত হন। সিএনজি যোগে যাওয়ার পথে একটি বালু বোঝাই ট্রাক চাপা দিলে সিএনজির তিন যাত্রী নিহত হন। ২৮ জানুয়ারি হরিণাকুন্ডু শহরের কাচারীপাড়ায় আলমসাধু উল্টে চালক বাদশা মারা যান।
২৯ জানুয়ারি শৈলকুপার আসাননগর নামক স্থানে ট্রাক চাপায় রানা নামে এক যুবক নিহত হন।
৩০ জানুয়ারি হরিণাকুন্ডু শহরের দিকনগর গ্রামে নানার পাখিভ্যান চাপায় নাতি রিফাত ও কালীগঞ্জ উপজেলার কেয়াবাগান নামক স্থানে নিজের আলমসাধু উল্টে চালক আশরাফ বিশ্বাস নিহত হন। দুর্ঘটনায় নিহত বেশির ভাগ অবৈধ যানবাহনের কারণে মারা গেছেন বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান জানান, আমরা সড়ক মহাসড়ক অবৈধ যানবাহন মুক্ত করতে প্রতি নিয়ত অভিযান চালাচ্ছি। চলাচলকৃত নসিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটি ও ইজিবাইক আটক করে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তরপারও তাদের থামানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন পুলিশের একার পক্ষে অবৈধ যানচলাচল বন্ধ করা সম্ভব নয়। জনগন যদি সচেতন না হয় তবে এই সমস্যা সহসায় সমাধান সম্ভব নয়।